November 08, 2015

Readymade Garmets (RMG) of Bangladesh


Readymade Garmets (RMG) রপ্তানিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০% হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। এদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের বৈদেশিক বাণিজ্য মানেই গার্মেন্টস শিল্পের জন্য তুলা/সূতা/মেশিনারি আমদানি আর ইউরোপ আমেরিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানি।
আসুন আজ বাংলাদেশের Readymade Garmets (RMG) সেক্টরের কথা জানি।
Bangladesh, the southern Asian country has a population of approximately 164 million people.
Readymade garments (RMG) sector of Bangladesh has raised as the biggest earner of foreign currency.
This sector creates about 4.20 million employment opportunities and contributes significantly to the GDP.
Facts and Notes:
----------------------
> Major RMG importing country from Bangladesh is USA
> Major RMG export from Bangladesh to Europe Area.
> Total Country export of FY 2014-15 is more than USD 30 Billion
> Export target for RMG for FY 2014-15 is more than USD 26 Billion
> Worker involved in RMG industry more than 4.00 million
> "Accord" is a Fire and Building safety inspection agency of Europe
> "Alliance" represents North American apparel companies and retailers
> BGMEA means Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association
> BKMEA means Bangladesh Knitwear Manufacturers & Exporters Association
> BTMA is Bangladesh Textile Mills Association
> Bangladesh contributing 4% to 5% of Global RMG market share
> Global Apparel market is approximately USD 400 Billion
> Total RMG export of FY 2014-15 is more than USD 24.58 Billion
“Desh Garments” is the pioneer of Bangladesh RMG sector. In 1979, Desh Garments started a joint project with South Korean company “Daiyuu”.
Quota system was a great blessing for establishing our garments industry.
Quota system was end in the year 2004.
In RMG sector of Bangladesh, there are more than 5000 garment factories (private statistics) at the current time, employing more than 12 lack labors, where 85% of the labor force is women.
Now, RMG industry is the countries largest export earner with the value of over USD 24.58 billion of exports in the last financial year (2013-2014).
Bangladesh is clearly ahead from other South Asian suppliers in terms of capacity of the Readymade garments industry.
All the Readymade garments are classified into 2 broad categories, where one is woven products and another one is knitted products.
Woven products includes: Shirts, Pants and Trousers.
Knitted product includes: T-Shirts, Polo Shirts, Undergarments, Socks, Stockings and Sweaters.
Woven garments still dominates the export earnings of the country.
Now about 40% export earnings has achieved from knitted products.
Key factors of RMG sector:
----------------------------------------------------------
1. Vast labor force,
2. Skilled human resources,
3. Technological upgrades,
4. Government supports for textile and clothing,
5. Special economic/export processing zones,
6. Creation of textile and clothing villages,
7. Incentive for use of local inputs,
8. Duty reduction for the import of inputs/machines,
9. Income tax reduction,
10. International supports like GSP, GSP+, duty free access etc.
Challenges for RMG Sector:
---------------------------------------
RMG sector of Bangladesh has achieved the second spot for the highest number of garments exporter.
The major problems faced by RMG sector currently is the lack of safety in working place and working conditions for the millions of garments workers.
Two major incidents in RMG sector of Bangladesh are the Tazreen fire and the Rana Plaza collapse,
Hoping for RMG Sector:
---------------------------------
According to the McKinsey survey, it’s seen that 86% of the chief purchasing officers in leading apparel companies in Europe and the USA planned to decrease levels of sourcing in China over the next 5 years because of declining profit margins and capacity constraints.
As survey states, “Western buyers are evaluating a considerable number of sourcing options in the Far East and Southeast Asia, many chief purchasing officers said in the survey that they view Bangladesh as the next hot-spot”.
McKinsey forecasts, export-value growth of 7% to 9% annually within the next 10 years, so the market will double by 2015 and nearly triple by 2020.
------------------------ 
© খোরশেদ খোকন
https://fb.com/khokonz
‪#‎khorshedkhokon‬

May 25, 2012

এপিটাফঃ


আমি জানি,
ভালো ক'রেই জানি,
কিছু অপেক্ষা করে নেই আমার জন্যে;
কোনো বিস্মৃতির বিষন্ন জলধারা,
কোনো প্রেতলোক, কোন পুনরুত্থান,
কোন বিচারক, কোন স্বর্গ, কোন নরক;

আমি আছি, একদিন থাকবো না,
মিশে যাবো, অপরিচিত হয়ে যাবো, জানবো না আমি ছিলাম।
নিরর্থক সব পুণ্যশ্লোক, তাৎপর্যহীন সমস্ত প্রার্থনা, হাস্যকর উদ্ধত সমাধি;

মৃত্যুর পর যে-কোনো জায়গায়ই আমি পড়ে থাকতে পারি,
জলাভূমিতে, পথের পাশে, পাহাড়ের চূড়োয়, নদীতে মরুভূমিতে, তুষারস্তূপে!

কিছুই অপবিত্র নয়...
যেমন কিছুই পবিত্র নয়,
কিন্তু, সব কিছুই সুন্দর, সবচেয়ে সুন্দর এই তাৎপর্যহীন জীবন।

April 07, 2012

যে কথা বলতেই হবে - গুন্টার গ্রাস

এইসব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়, যেখানে স্পষ্টতই আমরা ক্রীড়নক
আর টিকে থাকার প্রশ্নে ব্যবহৃত হচ্ছি
কেবলই কিছু পাদটীকা স্বরূপ__
সেখানে, কেন নীরব ছিলাম আমি? নিশ্চুপ, এতোটা কাল?

যে কথা বলছি,
সেটাই হলো প্রতিরোধমূলক আগ্রাসন কর্তৃক প্রথাগত অধিকারের দাবী,
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা আস্ফালনে আর দানাবদ্ধ হয়ে ওঠা উল্লাসধ্বনিতে,
যা কিনা মুছে দিতে পারে ইরানী জনতাকে,
এ্ই অযুহাতে যে, তার কর্মদক্ষতা জুড়ে ওই এলাকায়
তৈরি হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রসমূহ।

এবং অতঃপর, কেন আমি নিবৃত রাখবো নিজেকে
অপরাপর দেশসমূহের নামোচ্চারণ থেকে,
যেখানে, বছরের পর বছর__ হোক তা আচ্ছাদনে ঢাকা__
লাগামহীনভাবে প্রবৃদ্ধিরত পরমাণু অস্ত্র
বেড়েই চলেছে সানুক্রমিক, কেবল,
কোনও পরিদর্শনই তার নাগাল পচ্ছে না ব'লে?

উপলব্ধি বলছে, এই প্রশ্নে প্রত্যেকেই নীরব
আর আমার নৈঃশব্দ্যও ওই নীরবতারই গোলামী করছে,
যেন এর সবই দমিত মিথ্যা আর বিধি-নিষেধ, যা শাস্তিকেই জানায় আমন্ত্রণ,
এই সবে কোনও মনোনিবেশ নেই আমাদের;
ফলে তো, "ইহুদি-বিদ্বেষ" এক সাধারণ রায়ে পরিণত হলো!

এবার শোনো, যখন্ই আমার দেশ
সময়ে সময়ে স্পর্শ করেছে অনন্য ও স্বতন্ত্র অপরাধসমূহ,
তার ন্যায্যতা প্রতিপাদনে হয়েছে স্বয়ং সচেষ্ট,
আর যদি কেবলই নির্ভেজাল বণিকী উদ্দেশ্যপ্রণোদনাতেও হয়__ কিংবা
ধরো, আমাদের জিহ্বা দ্রুত নড়ে উঠলো এই বলে যে, এটা "ক্ষতিপূরণ"__
তা সত্বেও, যেখানে কোনও পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্ব প্রমানিতই নয়
বরং কী প্রমাণিত হলো তার ব্যাখ্যাও স্পষ্ট নয়;
তাদেরই বিরুদ্ধে বিধ্বংসী যুদ্ধযাত্রাকে সক্ষম করে তুলতে
আরও একটা সাবমেরিন ইসরায়েলে পাঠানো কি সমীচীন?
আমি সেটাই বলছি, যা বলা আবশ্যকীয়।

কেন আমি নীরব থেকেছিলাম গতকাল অব্দি?
কেননা, আমার আদিপুরুষের পরিচয় বিষয়ক ভাবনা
একটা অস্পষ্ট আঁচড়ের ভার নিয়ে অপেক্ষায় ছিলো
সেই সত্যকে এড়াতে, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণায় উচ্চকিত হয়
যে, প্রকারান্তরে আমারও থেকে থাকতে পারে সম্পৃক্ততা, আর ইহুদি-বিদ্বেষ।

কেন আমি এটা বলছি কেবল আজকের এই পর্যায়ে
এই বার্ধক্যে আর আমার কলমের ফুরিয়ে আসা কালিতে:
ইসরায়েলের পরমাণু শক্তি
গোটা বিশ্ব-শান্তির পক্ষে হুমকী, শুধু কি এই জন্য?
বলছি, এ কারণে যে, আজই বলা অত্যাবশ্যক,
নইলে, আগামীকাল হয়ে উঠবে এ সব বলার পক্ষে যথেষ্ট বিলম্বের;
বলছি, কেননা, জার্মান হিসেবে এবং অতীতের
অপরিমেয় ভুলভ্রান্তি ঘটে যাবার যন্ত্রণা নিয়েই__
সম্ভাব্য অপরাধ সংঘটনের আগেই আমরা তো সচেতন হতে পারতাম!
নইলে, কোনও অযুহাতই আমাদের পাপের কালিমা মুছতে পারবে না।

এবং স্বীকার করছি আমি: আর নির্বাক থাকবো না
কেননা, পশ্চিমা ভণ্ডামী অনেক দেখেছি আমি;
কেননা, আমি বিশ্বাস করি,
এই নির্মম নীরবতা থেকে নিস্কৃতি পেতে চায় আরও অনেকেই,
বলছি, অস্বীকারের স্বীকৃত ঝুঁকি অবলোপনে, ইসরায়েলি
পরমাণু অস্ত্রের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আর বিলুপ্তি চেয়ে
আর ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি পরিচালিত হবে
সেদেশের সরকার কর্তৃক এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্ববধানের যৌথতায়।

কেবল এভাবেই, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন এবং প্রত্যেকেই,
সমস্ত জনতা, যেখানেই দাঁড়িয়েছে বৈরিতা নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি,
পাগলামি অধিকৃত দেশে দেশে___
তারা বেরিয়ে আসার একটা পথ খুঁজে পাবে,
এই একই কথা আমাদের জন্যেও খাটে।

March 12, 2012

কথোপকথন-১ – পুর্ণেন্দু পত্রী

- কি করছো?
– ছবি আকঁছি।
- ওটা তো একটা বিন্দু।
– তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত।
- কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার।
– একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো।
ওটা কি? ওটা তো মেঘ।
– তুমি ছুঁয়ে দিলেই আকাশ হবে। তুমি হবে নি:সীম দিগন্ত। আর আমি হবো দিগন্তরেখা।
- কিন্তু সে তো অন্ধকার হলেই মিলিয়ে যাবে। আমি চিরন্তন হতে চাই।
– আচ্ছা, এবার দেখো।
- একি! এ তো জল।
– তুমি ছুঁয়ে দিলেই সাগর হবে। তিনভাগ জলের তুমি হবে জলকন্যা। আর আমি হবো জলাধার।
- আমার যে খন্ডিতে বিশ্বাস নেই। আমার দাবী সমগ্রের।
– একটু অপেক্ষা করো। এবার চোখ খোল।
- ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়।
– হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার?
- সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই।

February 28, 2012

তুই কি আমার দুঃখ হবি? - আনিসুল হক

তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।

তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি?

তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি,
নীচের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি

তুই কি একা আমার হবি?
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?

February 01, 2012

রাজা আসে যায় - বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

রাজা আসে যায় রাজা বদলায়
নীল জামা গায় লাল জামা গায়
এই রাজা আসে ওই রাজা যায়
জামা কাপড়ের রং বদলায়….
দিন বদলায় না!


গোটা পৃথিবীকে গিলে খেতে চায় সে-ই
যে ন্যাংটো ছেলেটা
কুকুরের সাথে ভাত নিয়ে তার লড়াইচলছে,
চলবে |


পেটের ভিতর কবে যে আগুন
জ্বলেছে এখনো জ্বলবে!


রাজা আসে যায় আসে আর যায়
শুধু পোষাকের রং বদলায়
শুধু মুখোশের ঢং বদলায়
পাগলা মেহের আলি
দুই হাতে দিয়ে তালি
এই রাস্তায়, ওই রাস্তায়
এই নাচে ওই গান গায় :
“সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়!
সব ঝুট হায়!”
জননী জন্মভূমি!


সব দেখে সব শুনেও অন্ধ তুমি!
সব জেনে সব বুঝেও বধির তুমি!
তোমার ন্যাংটো ছেলেটা
কবে যে হয়েছে মেহের আলি,
কুকুরের ভাত কেড়ে খায়
দেয় কুকুরকে হাততালি…
তুমি বদলাও না;
সে-ও বদলায় না!

January 27, 2012

হাইকু সিরিজ - মুহিত হাসান


১.
রাস্তা ছেঁড়া
অপলক নজর
খুঁজছে ডেরা ।।
২.
পিঁপড়ে দল
খাবার দেখলেই
নেবার ছল ।।
৩.
শীতের মাস
মাঠে ও ময়দানে
সবজি চাষ ।।
৪.
নয়া পরব
পোড় খাওয়া মাটি
হলো সরব ।।
৫.
ভ্রান্ত রথ
চলছে অগোছালো
হারাবে পথ ।।
৬.
বৃষ্টি-জল
স্ফটিক-সদৃশ
শীত-শীতল।।
৭.
মাছের ঝাঁক
স্রোতের বিপরীতে
নিয়েছে বাঁক ।।
৮.
জংলী ঘাস
আপনিই গজায়
করি না চাষ।।
৯.
কচুর পাতা
বাদল বরিষণে
ওটাই ছাতা।।
১০.
প্রাচীন বট
ধূসর পৃথিবীতে
সবুজ পট ।।
১১.
চতুর কাক
ভাতের ধান্ধায়
করছে হাঁক ।।
১২.
শিমুল তুলো
হাওয়ায় উড়লে
নরম ধুলো।।