August 22, 2010

পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ডিসেম্বরের মধ্যে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ারে ব্যাংক বহির্ভূত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ থাকলে তা ডিসেম্বরের মধ্যে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩’-এর ১৮(ছ) ধারায় রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এই সার্কুলার জারি করে।

সার্কুলারটি আজই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র।

উল্লেখ্য ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩’-এর ১৬ ধারা অনুযায়ী কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার মূলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ কোনো আর্থিক, বাণিজ্যিক, কৃষি, শিল্প বা অন্য কোনো বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের যে কোনো ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারণের লক্ষ্যে ব্যয় বা ব্যবহার করতে পারে না।

তবে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে মূলধন ও রিজার্ভের অনধিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে এমন সুযোগের কথাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রোববারের সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্কুলার জারির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সম্প্রতি কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সীমার অতিরিক্ত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। এতে করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়ছে এবং কলমানি মার্কেটের মতো স্বল্প মেয়াদী ঋণের উৎসের ওপর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ভরতা বাড়ছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এ সার্কুলার জারি করা হলো।

প্রসঙ্গত, এর আগে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ বিধিমালা অনুসরণের জন্য দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যাপারে নিয়ম ভেঙ্গে অধিক বিনিয়োগ করায় বাংলাদেশ ব্যাংক অতি সম্প্রতি ৭টি ব্যাংক বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে। কিন্তু ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে এ সার্কুলার জারির সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার মোট আমানতের ১০ শতাংশের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে না।

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি, ২২ আগস্ট ২০১০

No comments: