July 16, 2011

আটকে গেছে প্লেসমেন্ট শেয়ারের ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা

প্রাইভেট প্লেসমেন্টের নামে আবারও শুরু হয়েছে অনৈতিক বাণিজ্য। কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিচ্ছে কোম্পানি উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি কিছু কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিপুল সংখ্যক শেয়ার বরাদ্দ নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই আগাম বিক্রির জমজমাট ব্যবসা শুরু করেছে।

ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি না হওয়ায় প্লেসমেন্ট শেয়ারের ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রয়েছে।

তাই কোম্পানিরগুলোর আইপিও ছাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় টাকা ফেরত না পাওয়ার আশংকা করছে বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ার আগেই ৭টি কোম্পানিতে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা আটকে রয়েছে।

এ কারণে কোম্পানিগুলোর আইপিও নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এসইসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোম্পানি প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে পুঁজিবাজারে আসতে পারবে। সেগুলোর বিষয়ে দ্রুত এসইসির সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া না হলেও বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা উচিত এসইসির। এতে বিনিয়োগকারীরা যেমন হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন, তেমনি আটকে থাকা অর্থ শেয়ারবাজারে ফিরলে তা বর্তমান মন্দা কাটাতে সহায়ক হবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ মে এসইসির জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করেছে এসইসি।

ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ও তিন বছর বাণিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকলে ওই কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে সেসব কোম্পানিকে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে বলা হয়েছে।

সে অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি নতুন করে মূলধন বৃদ্ধির জন্য সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।

অথচ প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হওয়ার পরও এসইসির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের বাইরে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

16 Jul 2011
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

No comments: